Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

উপজেলা মৎস্য অফিসারের কার্যালয়, ফুলবাড়ী, কুড়িগ্রাম এর পক্ষ  থেকে আপনাকে স্বাগতম। মা ইলিশ ধরবো না দেশের ক্ষতি করবো না। শীত কালীন মৎস্যচাষিদের করণীয় কিছু পরামর্শ


শিরোনাম
বন্যকালীন চাষিদের করণীয়
বিস্তারিত

বন্যাকালীন মৎস্যচাষি ও উদ্যোক্তাগণের করণীয়:


১. বন্যা কবলিত পুকুর হতে মাছ নিরাপদ জলাশয়ে স্থানান্তর করুন।

২.সম্ভব হলে পাড় উঁচু ও শক্ত করে বেঁধে দিন।

দ্রুত পুকুর বা জলাশয়ের চার পাড়ে নেট বা বানা দিয়ে উঁচু করে ঘিরে দিন।

৩.পুকুর বা জলাশয়ের কোণায় ও মাঝে ঝোপঝাড় দিয়ে মাছের আশ্রয়স্থল বানিয়ে নিন।

৪.মাছ দ্রুত আকৃষ্ট হয় এমন খাবার (খৈল, চিটাগুড়, কেঁচো ইত্যাদি) পুকুর বা জলাশয়ের খাদ্যদানিতে দিয়ে রাখুন।

৫.একই এলাকায় বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া পুকুর বা জলাশয়ের মালিকগণ সমাজ ভিত্তিক বা যৌথভাবে নেট জাল বা বানা দিয়ে ঘেরাও করে মাছ চাষ ও রক্ষা করার উদ্যোগ নিতে পারেন।

৭.বন্যা কবলিত পুকুরের মাছ খাবি খাচ্ছে এমন লক্ষণ দেখা দিলে অক্সিজেন বর্ধক উপকরণ প্রয়োগ করুন।


বন্যা পরবর্তীকালে মৎস্যচাষি ও উদ্যোক্তাগণের করণীয়:


১.পুকুর বা জলাশয়ের পাড় ভেঙ্গে গেলে দ্রুত মেরামত বা সংস্কার করুন।

২.বন্যার পানি প্রবেশ করেছে কিন্তু সম্পূর্ণ পুকুর ভেসে যায় নাই এমন পুকুরে বন্যার পানি নেমে গেলে শতাংশ প্রতি ২৫০-৩০০ গ্রাম চুন এবং ১০০-২০০ গ্রাম লবণ ১৫ দিন পর পর ২ বার প্রয়োগ করুন।

৪.বন্যার পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে নতুন করে পোনা মজুদের জন্য শতাংশ প্রতি ১ কেজি করে চুন প্রয়োগ করুন।

৫.ভাল জাতের বড় আকারের (৪-৬টি/কেজি) কার্প জাতীয় মাছের পোনা প্রতি শতাংশে ১৫-২০ টি হারে মজুদ করুন।

৬.নিয়মিত ও পরিমিত সুষম মৎস্য খাদ্য প্রয়োগ করুন।

পুকুরের পানি ও মাছ নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করুন।

৭.বন্যার পানির সাথে বাহির থেকে ভেসে আসা (অচাষযোগ্য) মাছ পুকুরে প্রবেশ করলে তা ঘন ঘন জাল টেনে ধরে ফেলুন।

বন্যাকবলিত পুকুরে মাছের রোগ-বালাই দেখা দিলে মৎস্য অফিসের সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখুন।

ছবি
ডাউনলোড
প্রকাশের তারিখ
04/07/2024
আর্কাইভ তারিখ
30/06/2025